জোত পারমিটের নামে কাঠ পাচারে জড়িত পিপলু মাসুদ: অভিযোগ পাইন্দু চেয়ারম্যানের
সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটার জন্য জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ থেকে নিতে হয় অনুমতি। অবশ্য গাছ কাটার ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় জোত পারমিট। তবে বান্দরবানের রুমা উপজেলার কয়েকটি মৌজায় জোত পারমিট দেখিয়ে বন বিভাগের সৃজিত বাগানসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগের আওতাধীন পাইন্দু ইউনিয়নের চাইরাগ্রপাড়া, ক্যলুক্ষ্যংপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়া, পোরোওয়াপাড়া ও দাব্রæক্ষ্যং মৌজার ঞ্যংক্ষ্যংপাড়া এলাকায় বন বিভাগের সৃজিত সেগুন, গামারসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কাটছেন স্থানীয় পিপলু মারমা নামের এক ব্যক্তি। একইভাবে পাইন্দু মৌজার মুইঅংপাড়া, থোয়াইবাতংপাড়া, খামতাংপাড়া, চান্দা মৌজার চান্দাপাড়া, সেংগমপাড়া, আলেচুপাড়া ও তংমকপাড়া থেকে গাছ কাটছেন মো. মাসুদ নামে আরেক ব্যক্তি।
নাম অপ্রকাশ রাখার শর্তে পাইন্দু ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এক মাস আগে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কাঠ মজুদ করছেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। সেখানে ধোলাই (কাঠের বাকল ছাড়ানো) শেষে রুমা সদরের ১ নম্বর ঘাটে কাঠের ডিপোয় নিয়ে যান। এরপর কাঠে জোত পারমিটের নম্বরযুক্ত হ্যামার মারা হয়। পরে কাঠগুলো বান্দরবানসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়। গত এক মাসে ২৫ গাড়ি কাঠ ১ নম্বর ঘাটে নিয়ে গেছেন তারা। বনের গহিন থেকে কাঠ পরিবহন করতে ও এক বন থেকে আরেক বনে যাওয়ার জন্য পাহাড় কেটে রাস্তাও করেছেন। এজন্য একাধিক ঝিরি-খালের কোনো কোনো স্থানে বাঁধও দেয়া হয়। এ কাজে বাধা দিতে গেলে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। এ ব্যাপারে সম্প্রতি রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিপলু মারমা বলেন, ‘পাইন্দু ইউনিয়নের পাশে মজুদ করা কাঠগুলো ওই মৌজার হেডম্যান সামংউ মারমার জামাইয়ের। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছে। তবে অভিযোগ দেয়ার আগে প্রকৃত বাস্তবতা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’
মো. মাসুদ বলেন, ‘দুই-তিন মাস ধরে ওই এলাকায় আমার কোনো ব্যবসা নেই। স্থানীয়রা গাছ বিক্রি করলে সেটা কেনা কি অপরাধ?’
তাছাড়া তিনি সালাউদ্দিন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কেরানি। হয়রানি করার জন্য চেয়ারম্যান তাদের নামে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দেয়ার পরদিন তাদের তলব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে মতামত দিয়েছেন তারা। তবে সে সময় চেয়ারম্যান আসেননি।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। তিনি বলেন, ‘গাছ কাটায় বাধা দিলে পিপলু আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেন। সঙ্গে মাসুদও ছিলেন। মোটরসাইকেলসহ আমাকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার হুমকিও দেন।’ তবে অভিযোগ দেয়ার পর নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলছেন, অভিযোগ দেয়ার পর পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একবারও সাক্ষাৎ করেননি। রুমায় যোগ দেয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমার বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম:
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩
তারিখ:-১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
জোত পারমিটের নামে কাঠ পাচারে জড়িত পিপলু মাসুদ: অভিযোগ পাইন্দু চেয়ারম্যানের
সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটার জন্য জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ থেকে নিতে হয় অনুমতি। অবশ্য গাছ কাটার ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় জোত পারমিট। তবে বান্দরবানের রুমা উপজেলার কয়েকটি মৌজায় জোত পারমিট দেখিয়ে বন বিভাগের সৃজিত বাগানসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগের আওতাধীন পাইন্দু ইউনিয়নের চাইরাগ্রপাড়া, ক্যলুক্ষ্যংপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়া, পোরোওয়াপাড়া ও দাব্রæক্ষ্যং মৌজার ঞ্যংক্ষ্যংপাড়া এলাকায় বন বিভাগের সৃজিত সেগুন, গামারসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কাটছেন স্থানীয় পিপলু মারমা নামের এক ব্যক্তি। একইভাবে পাইন্দু মৌজার মুইঅংপাড়া, থোয়াইবাতংপাড়া, খামতাংপাড়া, চান্দা মৌজার চান্দাপাড়া, সেংগমপাড়া, আলেচুপাড়া ও তংমকপাড়া থেকে গাছ কাটছেন মো. মাসুদ নামে আরেক ব্যক্তি।
নাম অপ্রকাশ রাখার শর্তে পাইন্দু ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এক মাস আগে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কাঠ মজুদ করছেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। সেখানে ধোলাই (কাঠের বাকল ছাড়ানো) শেষে রুমা সদরের ১ নম্বর ঘাটে কাঠের ডিপোয় নিয়ে যান। এরপর কাঠে জোত পারমিটের নম্বরযুক্ত হ্যামার মারা হয়। পরে কাঠগুলো বান্দরবানসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়। গত এক মাসে ২৫ গাড়ি কাঠ ১ নম্বর ঘাটে নিয়ে গেছেন তারা। বনের গহিন থেকে কাঠ পরিবহন করতে ও এক বন থেকে আরেক বনে যাওয়ার জন্য পাহাড় কেটে রাস্তাও করেছেন। এজন্য একাধিক ঝিরি-খালের কোনো কোনো স্থানে বাঁধও দেয়া হয়। এ কাজে বাধা দিতে গেলে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। এ ব্যাপারে সম্প্রতি রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিপলু মারমা বলেন, ‘পাইন্দু ইউনিয়নের পাশে মজুদ করা কাঠগুলো ওই মৌজার হেডম্যান সামংউ মারমার জামাইয়ের। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছে। তবে অভিযোগ দেয়ার আগে প্রকৃত বাস্তবতা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’
মো. মাসুদ বলেন, ‘দুই-তিন মাস ধরে ওই এলাকায় আমার কোনো ব্যবসা নেই। স্থানীয়রা গাছ বিক্রি করলে সেটা কেনা কি অপরাধ?’
তাছাড়া তিনি সালাউদ্দিন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কেরানি। হয়রানি করার জন্য চেয়ারম্যান তাদের নামে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দেয়ার পরদিন তাদের তলব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে মতামত দিয়েছেন তারা। তবে সে সময় চেয়ারম্যান আসেননি।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। তিনি বলেন, ‘গাছ কাটায় বাধা দিলে পিপলু আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেন। সঙ্গে মাসুদও ছিলেন। মোটরসাইকেলসহ আমাকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার হুমকিও দেন।’ তবে অভিযোগ দেয়ার পর নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলছেন, অভিযোগ দেয়ার পর পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একবারও সাক্ষাৎ করেননি। রুমায় যোগ দেয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমার বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম:
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩
তারিখ:-১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।