একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প
রাম চন্দ্র ঘোষ
টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি
একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প। জনগণের সেবক পুলিশ। মানবিক লেডি সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেলের দায়িত্ববোধ নিয়ে আজ আমার লেখা। গত ক‘দিন আগে দেশ দিন বদলের ক্রান্তি লগ্নে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা “মা“ টাংগাইলের মধুপুর-ধনবাড়ী মানুষের জীবন, রক্ষা করার জন্য রাত দিন এক করে রাস্তায় থেকে মানুষের জান মালের রক্ষা করা সেই লেডি সহকারি পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি, যার কথা সারাটি জীবন মনে রাখবে ধনবাড়ী-মধুপুরের মানুষ। দিন বদলের ক্রান্তি লগ্নে সারা দেশে যখন পুলিশের উপর হামলা হচ্ছে, সেই সময় ধনবাড়ী মধুপুরের জনগণ কে সেবা দেওয়ার জন্য জীবন বাজি রেখে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা “মা“ লেডি পুলিশ অফিসার নেতৃত্ব দিয়ে নিজের ও সাধারণ মানুষের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। তাই এই প্রশংসনীয় কাজের কৃতজ্ঞতা জানান ধনবাড়ী-মধুপুর উপজেলার সকল স্তরের জনগণ। তার মত সৎ অফিসারের জন্য সব সময় মঙ্গল কামনা করেন মধুপুর-ধনবাড়ীর জনগণ। আদি কালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের ঘাড় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগনের কাছ থেকে।. সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে যে ধারণা বাসা বেঁধেছিল, তা খুব সুখকর নয়। প্রথাগত পুলিশিং নিয়ে জনমানুষে মোটা দাগে যে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষের কাতার থেকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণ নয়। আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। কিন্তু গত এক-দেড় দশকে পুলিশ সম্পর্কিত জনধারণা অনেক খানিই বদলে গেছে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’—এ কথাটি এখন আর নেহাতই কেতাবি কথা নয়। বাস্তবিকই পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে উঠছে। তার প্রমাণ টাংগাইলের মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি ।
পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই লেডি পুলিশ অফিসারগন। এ যুগান্তকারী ধনবাড়ী,মধুপুর থানা কে পরিবর্তনের অন্যতম ব্যক্তি মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একেবারে প্রান্তবর্তী জনগোষ্ঠীকে উত্তরণের পথে নিয়ে আসা এ মানুষটি টাংগাইলের মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার। ২০২৩ সালে মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য একটি বড় খুশির খবর ছিল মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি।
সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি,র প্রতিটি অভিনব কাজ স্বীকৃত দিয়েছেন টাংগাইল জেলা পুলিশ । টাংগাইলের মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি,যোগদান করার পর থেকে মানবিক সেবা প্রদান করে সর্ব মহলে প্রশংসীত হয়েছেন। তার কাছে আসা সাধারণ মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সবসময় ন্যায়ের পক্ষে তার শক্ত অবস্থান। তার এমন আচরণে ধনবাড়ী-মধুপুর উপজেলার সর্বসাধারন মানুষ খুশি। সরো জমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি,যোগদানের পর থেকে আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ছুটে বেড়ান থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিয়ে মাদক, সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং এর ব্যবস্থা করে থাকেন।
সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি‘র ব্যবহার, আচরণই বলে দেয় তিনি সত্যিকারের একজন সাদা মনের মানুষ ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসার। একাধিক জনসাধারণ মানুষ জানান,মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি, যোগদানের পরই খুব সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করছেন।
যিনি নিজেকে কখনও লেডি পুলিশ অফিসার হিসাবে নয়, জনগণের একজন সেবক হিসাবে মনে করেন। একজন মানবিক দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসারের যে সকল গুন থাকা প্রয়োজন সেগুলো মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি‘র মধ্যে সেই গুন গুলো বিদ্যমান আছে। শুনা যাচ্ছে মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি,অন্য এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে চলে যাচ্ছে। তবে ধনবাড়ী-মধুপুর উপজেলার ও থানার এলাকাবাসীর মনে করেন তিনি ধনবাড়ী-মধুপুর উপজেলার একজন সন্তান। আর তার বিদায়ের খবর শুনলে হয়তো বা মনে মনে কষ্ট পাবে। মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি‘র সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন,‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ পরিচয়ের আগে আমি একজন মানুষ, মানুষ মানুষের জন্যই, প্রকৃত মানুষ কখনো অপর মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে না। মানবতা যেখানে গুমরে গুমরে কাঁদছে সেখান থেকে কেউ সরে দাড়াতে পারে না,নিজের মানবিকতা বোধ থেকেই কাজগুলো করি। মানুষের অতি আপনজন হওয়ার চেষ্টা করি। মানুষের সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আমি বিশ্বাস করি আমার কাজের পুরষ্কার আমাকে স্বয়ং আল্লাহ দিবেন। আপনাদের কাছে দোয়া চাই । আল্লাহ যেন আমাকে মানুষের সেবা করার বেশী বেশী সুযোগ করে দেন”। টাংগাইলের ধনবাড়ী-মধপুরের সহকারী পুলিশ সুপার‘র দায়িত্বে আছি বেশ কিছু দিন হয়ে গেছে।
ধনবাড়ী-মধুপুর থানা তথা উপজেলার সকল স্তরের মানুষের কথা সারাটি জীবন মনে রাখবো। তারা আমাকে কখনো লেডি পুলিশ অফিসার হিসাবে না দেখে নিজেদের বোন,সন্তান মনে করতো। এটাই আমার জীবনে বড় পাওয়া। আমি চেষ্টা করেছি ধনবাড়ী –মধপুর থানার সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার। জানি না কতটুকু পেরেছি। তবে আমি যত দিন মধুপুরের সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে আছি সকল শ্রেনীর মানুষের সেবা করে যাব। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। মহান আল্লাহ যেন সকলকে ভালো রাখুন।