1. admin@dailybijoysongbad.com : admin :
  2. asanurhossain23@gmail.com : Bijoy Songbad : Bijoy Songbad
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু ধনবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেয়া হবে: তারেক রহমান

কমিটি বানিজ্য ও জিসাসের সম্মান ক্ষুন্ন করায় ইভাকে জিসাস থেকে বহিষ্কার

ক্রয়মূল্য সবজি বিক্রয় “” ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদল অন্তর্গত খিলগাঁও থানায় সবজি বিক্রয়

জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় রোকেয়া সুলতানা কেয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

ধনবাড়ীতে ৩০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আছাদুল মোল্লা গ্রেফতার

গাজীপুর সদরে শেখ নুরুল ইসলামকে সভাপতি ও আলাউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করে মৎস্যজীবী দলের কমিটি গঠন।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর সম্পাদক মওলা

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলেও ভাড়া করা ভবনে পাঠদান

সবজির বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের উদ্যোগ’

ধনবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ধনবাড়ীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতার করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ। এ সময় থানা পুলিশ জানান গতকাল রাত ১২:৪৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিতিত্বে,ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম শহিদুল্লাহ র নেতৃত্বে এস আই আলমাস, এস আই শ্রী জীব ও এস আই মনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আসামীরা হলেন ধনবাড়ী পৌর সভার কালীপুর গ্রামের মাদক সম্রাট জাহাগীর আলম এর বাবা মো: জুলহাস (৫২),মা, মোছা: জাহানারা বেগম (৪৮) ধনবাড়ী থানার এস আই আলমাস বাদী হয়ে মামলা দিয়ে তারে টাংগাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার এফ আই আর মামলা নং ০৮ । ৩৬ (১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ২০১৮ আইন মোতাবেক আসামীকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচাজ এস এম শহিদুল্লাহ আরও জানান, মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসামী দ্বয়ের কাছে ২০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। স্বামীর কাছে ৫ পিছ ও স্ত্রীর কাছে ১৫ পিছ। আমরা মাদকের উপর অভিযান চালিয়ে যাবো, এবং ধারা অব্যাহত রেখে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী বেশ কয়েক বার তাদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর বাবা মা কে গ্রেফতারের পর স্থানীয় এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন।
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা বাজারে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও অপর মোটরসাইকেলের ১জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে।  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে মজিবুর রহমান ও তার বড় ছেলে জাহিদ মোটরসাইকেল যুগে আশ্রা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশ্রা বাজার থেকে ব্যবসায়ীক কাজ শেষে ছেলে জাহিদ তার বাবাকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়ি বড় আশ্রার দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে মধুপুর দিক থেকে বেপরোয়া ভাবে আসা অপর মোটরসাইকেলের চালক খুব দ্রুতগতিতে এসে তাদের মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি লাগিয়ে দিলে বাবা ছেলে দুজনেই ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এঘটনায় অপর মোটরসাইকেলের চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।  ঘটনায় নিহত মজিবুর রহমান মহিষমারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও   আশ্রা বাজারের বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।  পিতাপুত্রের এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু
ধনবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের অপরাধে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আইন- বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৬নং ধারা অমান্য করার কারণে ১৫ ধারায় ৫০০০/ ও সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা ৯০ অনুযায়ী ১০০০০ টাকা জরিমানা করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)  ধনবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  সায়েম ইমরান এর নের্তৃত্ব এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধভাবে  বালু উত্তোলিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন। ধনবাড়ী উপজেলা  সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানান, যত দিন ধনবাড়ীতে আছি তত দিন কোন প্রকার কোন প্রকার অন্যয় মেনে নেওয়া হবে না। প্রশাসন সকল প্রকার অপরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনকে অতিদূত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বাগতম জানান ধনবাড়ী উপজেলার সচেতন মহল।
ধনবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা
৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেয়া হবে: তারেক রহমান সিঁদুর ঘোষ রাজকুমার স্টাফ রিপোর্টার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। যারা চায় না এদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, দেশ রাজনৈতিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোক। আমরা যদি ৩১ দফা সফল করতে পারি, যদি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে তাদেরকে জবাব দেয়া হবে। বুধবার(১৮ ডিসেম্বর )বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কেন্দ্রিয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে বিএনপি’র ৩১ দফা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা তাদের কায়দায় জবাব দেবনা। আমরা আমাদের কায়দায় জবাব দিব। কি সেই কায়দা ? শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যা করতে চেয়েছিলেন সেই কাজগুলো করা। যা আমরা ৩১ দফায় বলেছি। সেই কাজগুলো সফল করার মাধ্যমেই আমরা ষড়যন্ত্রকারী এবং স্বৈরাচারকে জবাব দিতে পারবো। তার জন্যে দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। এর আগে তিনি ৩১ দফার আলোকে কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।  বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রিয় বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোরহাব, বিএনপি’র সহ প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু, বিএনপি’র কার্যনির্বাহী সদস্য ওবায়দুল হক নাসির ও বিথিকা বিনতে হোসাইন ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। কর্মশালায় তৃনমুল পর্যায়ে সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করে। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।পরে দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর দিনের মুল কর্মসুচি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফার নানা দিক তুলে ধরেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেয়া হবে: তারেক রহমান
মধুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী, স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অনুষ্ঠিত হয়েছে,সোমবার(১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার সময় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের নিকটে নবনির্মিত ব্রীজের থেকে একটি বিশাল র‌্যালী বের হয়ে মধুপুর পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রদক্ষিণ শেষে মধুপুর কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পূনরায় ব্রীজের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মধুপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ পান্না শোলাকুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (হবি) এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন তৃনমুল সাংবাদিক ফোরাম যুগ্ম সম্পাদক, ও স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভির স্টাফ রিপোর্টার,রাম চন্দ্র ঘোষ,সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মিডিয়া সহায়তায় ছিলেন, সাবেক যুবদলের নেতা মনিরুজ্জামান আসিফ। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত বিএনপি, যুবদল,মহিলা দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মধুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জোত পারমিটের নামে কাঠ পাচারে জড়িত পিপলু মাসুদ: অভিযোগ পাইন্দু চেয়ারম্যানের সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটার জন্য জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ থেকে নিতে হয় অনুমতি। অবশ্য গাছ কাটার ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় জোত পারমিট। তবে বান্দরবানের রুমা উপজেলার কয়েকটি মৌজায় জোত পারমিট দেখিয়ে বন বিভাগের সৃজিত বাগানসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগের আওতাধীন পাইন্দু ইউনিয়নের চাইরাগ্রপাড়া, ক্যলুক্ষ্যংপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়া, পোরোওয়াপাড়া ও দাব্রæক্ষ্যং মৌজার ঞ্যংক্ষ্যংপাড়া এলাকায় বন বিভাগের সৃজিত সেগুন, গামারসহ প্রাকৃতিক বনের গাছ কাটছেন স্থানীয় পিপলু মারমা নামের এক ব্যক্তি। একইভাবে পাইন্দু মৌজার মুইঅংপাড়া, থোয়াইবাতংপাড়া, খামতাংপাড়া, চান্দা মৌজার চান্দাপাড়া, সেংগমপাড়া, আলেচুপাড়া ও তংমকপাড়া থেকে গাছ কাটছেন মো. মাসুদ নামে আরেক ব্যক্তি। নাম অপ্রকাশ রাখার শর্তে পাইন্দু ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এক মাস আগে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কাঠ মজুদ করছেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। সেখানে ধোলাই (কাঠের বাকল ছাড়ানো) শেষে রুমা সদরের ১ নম্বর ঘাটে কাঠের ডিপোয় নিয়ে যান। এরপর কাঠে জোত পারমিটের নম্বরযুক্ত হ্যামার মারা হয়। পরে কাঠগুলো বান্দরবানসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়। গত এক মাসে ২৫ গাড়ি কাঠ ১ নম্বর ঘাটে নিয়ে গেছেন তারা। বনের গহিন থেকে কাঠ পরিবহন করতে ও এক বন থেকে আরেক বনে যাওয়ার জন্য পাহাড় কেটে রাস্তাও করেছেন। এজন্য একাধিক ঝিরি-খালের কোনো কোনো স্থানে বাঁধও দেয়া হয়। এ কাজে বাধা দিতে গেলে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন পিপলু মারমা ও মাসুদ। এ ব্যাপারে সম্প্রতি রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিপলু মারমা বলেন, ‘পাইন্দু ইউনিয়নের পাশে মজুদ করা কাঠগুলো ওই মৌজার হেডম্যান সামংউ মারমার জামাইয়ের। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছে। তবে অভিযোগ দেয়ার আগে প্রকৃত বাস্তবতা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’ মো. মাসুদ বলেন, ‘দুই-তিন মাস ধরে ওই এলাকায় আমার কোনো ব্যবসা নেই। স্থানীয়রা গাছ বিক্রি করলে সেটা কেনা কি অপরাধ?’ তাছাড়া তিনি সালাউদ্দিন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কেরানি। হয়রানি করার জন্য চেয়ারম্যান তাদের নামে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দেয়ার পরদিন তাদের তলব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে মতামত দিয়েছেন তারা। তবে সে সময় চেয়ারম্যান আসেননি। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। তিনি বলেন, ‘গাছ কাটায় বাধা দিলে পিপলু আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেন। সঙ্গে মাসুদও ছিলেন। মোটরসাইকেলসহ আমাকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার হুমকিও দেন।’ তবে অভিযোগ দেয়ার পর নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলছেন, অভিযোগ দেয়ার পর পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একবারও সাক্ষাৎ করেননি। রুমায় যোগ দেয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমার বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
জোত পারমিটের নামে কাঠ পাচারে জড়িত পিপলু মাসুদ: অভিযোগ পাইন্দু চেয়ারম্যানের
রাজনীতি
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান

নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 ১
২৩৪৫৬৭৮
৯১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
জাতীয়
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান

Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
আন্তর্জাতিক
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান

নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
অপরাধ
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
আরও খবর
চাকরি
একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প
চন্দ্রা নাগরা গার্মেন্টস, কালিয়াকৈর গাজীপুর চন্দ্রা নাগরা গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিকের বকেয়া বেতন না দেওয়ায়, আজ, ১৪/৮/২০/২৪ইং সকাল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক তাদের কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমেছেন
দৈনিক বিজয় সংবাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক, সাংবাদিক মোঃ বিজয় সরকার, পরিবার ও সদস্যবৃন্দ, পরিচয় ও বিষয় নিয়ে, সাংবাদিক ও প্রশাসন, জনগণ, ধন্যবাদ আন্তরিকতার সাথে, ভালোবাসা, রইলো
ধনবাড়ীতে বেকারী কারখানায় ভেজাল খাদ্য তৈরি ও হোটেল মালিককে মোবাইল কোটে অর্থ দন্ড প্রদান।
প্রেমে বিচ্ছেদে, মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করলেন এক যুবক
আরও খবর
ফিচার
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
ধর্ম
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
ভ্রমণ
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতার করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ। এ সময় থানা পুলিশ জানান গতকাল রাত ১২:৪৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিতিত্বে,ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম শহিদুল্লাহ র নেতৃত্বে এস আই আলমাস, এস আই শ্রী জীব ও এস আই মনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আসামীরা হলেন ধনবাড়ী পৌর সভার কালীপুর গ্রামের মাদক সম্রাট জাহাগীর আলম এর বাবা মো: জুলহাস (৫২),মা, মোছা: জাহানারা বেগম (৪৮) ধনবাড়ী থানার এস আই আলমাস বাদী হয়ে মামলা দিয়ে তারে টাংগাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার এফ আই আর মামলা নং ০৮ । ৩৬ (১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ২০১৮ আইন মোতাবেক আসামীকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচাজ এস এম শহিদুল্লাহ আরও জানান, মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসামী দ্বয়ের কাছে ২০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। স্বামীর কাছে ৫ পিছ ও স্ত্রীর কাছে ১৫ পিছ। আমরা মাদকের উপর অভিযান চালিয়ে যাবো, এবং ধারা অব্যাহত রেখে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী বেশ কয়েক বার তাদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর বাবা মা কে গ্রেফতারের পর স্থানীয় এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন।
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গাজীপুর সদরে শেখ নুরুল ইসলামকে সভাপতি ও আলাউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করে মৎস্যজীবী দলের কমিটি গঠন।
ধনবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার
কমিটি বানিজ্য ও জিসাসের সম্মান ক্ষুন্ন করায় ইভাকে জিসাস থেকে বহিষ্কার
আব্দুস সালাম পিন্টুর খালাসের খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ
ধনবাড়ীতে আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ফকিরের বিশাল জনসভা
আরও খবর
অর্থনীতি
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
আইন-আদালত
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
নারী ও শিশু
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
কৃষি
শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে জলছত্র হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন রাম চন্দ্র ঘোষ, মধুপুর টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ৯ নং অরনখোলা ইউনিয়নের জলছত্র হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মধুপুর উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন সরকার মধুপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এম রতন হায়দার,পৌর বিএনপির সভাপতি মোতালেব হোসেন ফকির, ৯ নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক নাসিম সরকার,বেরীবাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ কাবিল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক সরকার যুবদল সভাপতি পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, হরিসভা মন্দিরের সভাপতি শ্রী প্রবীর দেব বর্মন, সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র দে, সহ অন্যান্য পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিল।
শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে জলছত্র হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন
মধুপুরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ
কামাল হোসেন তালুকদার মিন্টুকে ফুল দিয়ে বরণ করলেন ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও আলোচনা সভা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রধান অনুষ্ঠিত
মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া শাজাহানের ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
দফা এক, দাবি এক , প্রধান শিক্ষক, মোঃ জাহিদুর রহমান পদত্যাগ, চাই,, ধরন নাূূদর, পুকুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
আরও খবর
শিক্ষা
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাম চন্দ্র ঘোষ টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতার করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ। এ সময় থানা পুলিশ জানান গতকাল রাত ১২:৪৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিতিত্বে,ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম শহিদুল্লাহ র নেতৃত্বে এস আই আলমাস, এস আই শ্রী জীব ও এস আই মনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আসামীরা হলেন ধনবাড়ী পৌর সভার কালীপুর গ্রামের মাদক সম্রাট জাহাগীর আলম এর বাবা মো: জুলহাস (৫২),মা, মোছা: জাহানারা বেগম (৪৮) ধনবাড়ী থানার এস আই আলমাস বাদী হয়ে মামলা দিয়ে তারে টাংগাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার এফ আই আর মামলা নং ০৮ । ৩৬ (১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ২০১৮ আইন মোতাবেক আসামীকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচাজ এস এম শহিদুল্লাহ আরও জানান, মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসামী দ্বয়ের কাছে ২০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। স্বামীর কাছে ৫ পিছ ও স্ত্রীর কাছে ১৫ পিছ। আমরা মাদকের উপর অভিযান চালিয়ে যাবো, এবং ধারা অব্যাহত রেখে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী বেশ কয়েক বার তাদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর বাবা মা কে গ্রেফতারের পর স্থানীয় এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন।
ধনবাড়ীতে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
আরও খবর
স্বাস্থ্য
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
খেলাধুলা
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ, জয়ীরা পেলো ঘাসি সিঁদুর ঘোষ রাজকুমার টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি এবারের কোরবানির ঈদ আনন্দে টাংগাইলে বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। গ্রামে-গঞ্জে প্রত্যেক ঈদের সময় এ ধরনের ম্যাচ বা খেলা উপভোগ করতে জড়ো হন বিবাহিত ও অবিবাহিত দল। আর সেই কারণে খেলায় অংশ নেয়া দল দুটিকে ভাগও করা হয় ‘বিবাহিত ও অবিবাহিত’ নামে। সুমন খানের তত্ত্বাবধানে সার্বিক সহযোগিতায় আরোহা উত্তর পাড়া যুব সংঘ মঙ্গলবার (১৮জুন) বিকেলে এমন উত্তেজনাকর একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বাসাইল উপজেলার আরুহা গ্রামের মাঠে। অবিবাহিতরা ফুটবলে মাঠে লড়েছেন বিবাহিতদের সঙ্গে। বিজয়ী হয়েছে অবিবাহিতরা। টানটান উত্তেজনায় বিবাহিতদের সঙ্গে লড়াই করে ৪/৩গোলে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন অবাহিতরা। বিজীদের হাতে তুলে দেয়া হয় একটি ঘাসি কেনার টাকা । আরুহা গ্রামের আ: কালাম মিয়া বাড়ির পৃর্ব পাশে ধান ক্ষেতের ওই জায়গায় হয় এই ফুটবল ম্যাচ। বিবাহিত দলের নেতৃত্ব দেন৷ জুয়েল মিয়া ও সঞ্জু সরকার । তার সাথে ছিলেন , জয় সহ, ১১জন। অন্যদিকে অবিবাহিত দলে নেতৃত্বে ছিলেন সাদিক ও শুভ । সাথে খেলেন রাকিব, ও প্রান্ত,সহ ১১ জন। বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের এই খেলায় রেফারি ছিলেন কবির ও সাগর। গ্রামের তরুণরা আয়োজন করে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের। এক গোল দিয়ে বিবাহিতদের হারিয়ে দেন অবিবাহিতরা। আর ৩ গোল দিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বিবাহিতদের। খোলা মাঠে ধান ক্ষেতে খেলা হলেও আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। মাঠের চারপাশে গ্রামের ছেলে মেয়েরাসহ দর্শকও ছিল অনেক। বিবাহিত খেলোয়াড় জুয়েল মিয়া বলেন, ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতেই আমাদের এই খেলার আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কেউই পেশাদার খেলোয়াড় নই, নিজেদের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করতে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ, জয়ীরা পেলো ঘাসি
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ, জয়ীরা পেলো ঘাসি সিঁদুর ঘোষ রাজকুমার টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি সার্বিক সহযোগিতায় সুমন খান এবারের কোরবানির ঈদ আনন্দে টাংগাইলে বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। গ্রামে-গঞ্জে প্রত্যেক ঈদের সময় এ ধরনের ম্যাচ বা খেলা উপভোগ করতে জড়ো হন বিবাহিত ও অবিবাহিত দল। আর সেই কারণে খেলায় অংশ নেয়া দল দুটিকে ভাগও করা হয় ‘বিবাহিত ও অবিবাহিত’ নামে। সার্বিক সহযোগিতায় সুমন খান মঙ্গলবার (১৮জুন) বিকেলে এমন উত্তেজনাকর একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বাসাইল উপজেলার আরুহা গ্রামের মাঠে। অবিবাহিতরা ফুটবলে মাঠে লড়েছেন বিবাহিতদের সঙ্গে। বিজয়ী হয়েছে অবিবাহিতরা। টানটান উত্তেজনায় বিবাহিতদের সঙ্গে লড়াই করে ৪/৩গোলে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন অবাহিতরা। বিজীদের হাতে তুলে দেয়া হয় একটি ঘাসি কেনার টাকা । আরুহা গ্রামের আ: কালু মিয়া বাড়ির পশ্চিম পাশে ধান ক্ষেতের ওই জায়গায় হয় এই ফুটবল ম্যাচ। বিবাহিত দলের নেতৃত্ব দেন মহাদেব। তার সাথে ছিলেন সনজু সরকার, জয় সহ, ১১জন। অন্যদিকে অবিবাহিত দলে নেতৃত্বে ছিলেন সাদিক ও শুভ । সাথে খেলেন রাকিব, ও প্রান্ত,সহ ১১ জন। বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের এই খেলায় রেফারি ছিলেন কবির ও সাগর। গ্রামের তরুণরা আয়োজন করে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের। এক গোল দিয়ে বিবাহিতদের হারিয়ে দেন অবিবাহিতরা। আর ৩ গোল দিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বিবাহিতদের। খোলা মাঠে ধান ক্ষেতে খেলা হলেও আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। মাঠের চারপাশে গ্রামের ছেলে মেয়েরাসহ দর্শকও ছিল অনেক। বিবাহিত খেলোয়াড় জয় বলেন, ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতেই আমাদের এই খেলার আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কেউই পেশাদার খেলোয়াড় নই, নিজেদের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করতে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ, জয়ীরা পেলো ঘাসি
চলনবিলে সিংড়ায় নৌকা বাইচ দেখতে হাজারো মানুষের ঢল
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার কেজি হাঙর জব্দ
আরও খবর
তথ্য-প্রযুক্তি
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
বিনোদন
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
আরও খবর
লাইফস্টাইল
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় রোকেয়া সুলতানা কেয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম বিশেষ প্রতিনিধি, আজ ৩০ শে নভেম্বর ২০২৪ ইং রোজ শনিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস নরসিংদী জেলার সাবেক সভাপতি ও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম সরকার ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান মিয়া, হাসান মিয়া, করিম মিয়া সহ নেতাকর্মী বৃন্দ। আজ ৩০ শে নভেম্বর ঢাকা গুলশান-১ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়ার বাসায় নবনির্বাচিত সভাপতি নির্বাচিত হওয়া শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ফুল বিনিময় করেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মী বৃন্দরা। বিগত সময়ে সমস্যা এবং নতুন ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে মতামত বিনিময় ও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যেে। জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাসকে সুন্দর ঢালাওভাবে সাজাতে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া সাংগঠনিক ও ব্যাপক ভাবে কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। বিগত সময়ে মরহুম রানা সাহেবের সফলতা দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন এবং মরহুম রানা সাহেব আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় রোকেয়া সুলতানা কেয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার কেজি হাঙর জব্দ
আরও খবর
গণমাধ্যম
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
সাহিত্য
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দলীয় ক্ষমতা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের সমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান থানচি হেডম্যান পাড়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন তিনি। তখন থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর আগে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) একজন উপজেলা স্বক্রীয় কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ পদ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে । বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর আস্থাভাজন হয়ে উঠা ও তার ছত্রছায়া হয়ে গত ৮ বছরে নামে বেনামে বৈধ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই পদের ক্ষমতা থাকায় অনৈতিকভাবে বালি, পাথর, পাহাড় কাটা, গাছ কাটাসহ নানান অবৈধ উপায়ের কাজের অহংকারী দাম্ভিকতা, ক্ষমতা অপব্যবহার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে পাহাড় সমান সম্পদ কীভাবে হলো সাধারণ জনগণের মুখে প্রশ্ন ও থানচিবাসি জানতে চেয়েছে । আরো জানা যায়, থানচি আলিকদম সড়কে ২৮ কিলো নামক স্থানের অংপুং ম্রো ও রুমবেত ম্রো দুই গ্রামের ৮০ পরিবারের বসবাস। সেখান থেকে ৬০ পরিবারের জন্য উপকারভোগী দেখিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কার্যালয় হতে ২০১৭-১৮ সালে মোট ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমি অবৈধ উপায়ে দখল করে ঝিঁড়িতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে মৎস্য চাষের বাঁধ নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলার পর উপকার ভোগীদের মাঝে বণ্টন করে হন্তান্তর করার কৃষি বিভাগের প্রকল্পের উল্লেখ করা হলে ও তা করা হয়নি। কৃষি কর্পোরেশনের বরাদ্দের প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। দুই ভাইয়ের অবৈধ দখলকৃত ঔ জমিটি বর্তমানের বাজার মূল্য প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। রুমবেত পাড়া, অংপু পাড়াবাসী সিয়াম ম্রো ও মেনলে ম্রো বলেন, আমাদের গ্রামের হত দরিদ্রদের আত্ম-সামাজিক নিরাপত্তা জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা দু’পাড়াবাসী মিলেও বাঁশের বাগান করেছিলো কিন্তু চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় দাপট দেখিয়ে সব নিজেরা দখলে নিয়ে যায়। আমাদের জায়গাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি। অনুসন্ধানের জানা গেছে, থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রুপন চৌধুরী নিকট থেকে ২০২০ সালে একটি দোকান প্লট বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন অনেকে। রুপন চৌধুরী বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করলাম কিন্তু এখনও কিছু টাকা বকেয়া রেখেছে তিনি। ২০২২ সালে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আমতলী পাড়া ১০ শতক পাহাড় জমি ক্রয় করেন, একই বছরের জায়গাটিতে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগের পর বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে জমিটি মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। বলীপাড়া ইউনিয়নের বান্দরবান থানচি সড়কের অনিল পাড়া এলাকায় (আইলমারা ঝিঁড়ি) উপর প্রায় ১০ একর উঁচু জমি ক্রয় করেন তিনি। যা আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা কাছাকাছি হবে ধারণা করেছেন অনেকে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা সদরে লেমুঝিঁড়ি বৌদ্ধ বিহারে পাশে রোয়াংছড়ি সড়কে ঠিকাদার রুবেল নিকট থেকে এক কোটি টাকায় ৫০ শতক জায়গাও কিনেন তিনি। এদিকে বান্দরবানে জেলা সদরে উজানি পাড়া মরহুম খোকন মাস্টার হতে ১০ শতক জায়গা ক্রয় করেন দেড় কোটি টাকা মূল্যে। শহরে মধ্যম পাড়া বোমাং সার্কেলে পাশে ২য় তলায় একটি ফ্লাট কিনেন ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের। নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের বিরোধের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ›িদ্বতা করেছিলেন তিনি। ঐ সময় হলফনামা উল্লেখ করেন তার পরিবারের স্বর্নলংকার, ফার্নিচার, নগদ টাকা, স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। ঐ সময় পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা হলফনামা জমা দেন। নির্বাচনে পরাজয় পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা এর আশীর্বাদ ও আস্থাভাজন হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় ২০১৪ সালের সম্পদের পরিমাণ ৮ লক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষের বৃদ্ধি হয়। নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসের ৪০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে আবার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ও পান তিনি। ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা সম্পদ বেরিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা সম্পদের পরিমাণের জমা দিয়েছে হলফনামা। ২০২৪ সালে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হলে তাকে বর্তমান সরকার গত আগস্ট মাসের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন। থানচি বাজারে থানচি ভাতঘর রেস্টুরেন্ট মালিক আবদুল কাদের বুধবার রাতে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং এর স্ত্রী হ্লামেচিং নিকট ৫ বছরের ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করিতেছি। মাস শেষে চেয়ারম্যানের ভাই আমার থেকে ভাড়া নিয়ে যায়। আগে ছিল দোকান ভাড়া ৫০ হাজার কিন্তু থানচি পর্যটক না আসায় কারণে এখন ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিশেষ প্রতিনিধি, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী, পাইকারচর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি তার নিজ জমি মিসকেসের মাধ্যমে বিবিধ প্রতিকার প্রদানের জন্য পৌর ভূমি অফিসের হেল্প ডেক্স অফিস সহায়ক মহসিনের শরণাপন্ন হলে, মহসিন দশ হাজার টাকা দাবি করে। মিসকেস প্রতিকারের জন্য সময় লাগবে তিন মাস। প্রথমে অগ্রিম পাঁচ হাজার, পরবর্তীতে মিসকেস প্রতিকার এর কপি হাতে দিলে, দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। দুইবারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দাবি করলে, সহজ সরল সেবা গ্রহীতা ব্যক্তি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মহসিনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এ মর্মে মহসিনকে জমির কাগজপত্র সহ পাঁচ হাজার টাকা দেয় বলে ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মীকে বলেন। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীগণ মহাসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিকগণ মহসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। সম্প্রতি নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসটি মহাসিন এর মত দুর্নীতিবাজদের জন্য দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান। পৌর ভূমির অফিস সহায়ক মহসিন দালালী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অফিস সহায়ক নামে, সিটিজেন চার্টার ফি বহির্ভূত ও সরকারী বিধি লংঘন করে আসছে বলে জানা যায়। মহসিন, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভূমি অফিসকে নানা বিতর্কিত করে ফেলেছে একাধিক সূত্রে জানা যায়- জমিজমা সংক্রান্ত নানা কাজে আসা সেবা গ্রহীতারা তার নিকট নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করাই তার কাজ। টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা এবং সেবা গ্রহিতাদের জরুরী কাগজপত্র গুম ও বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় নরসিংদী পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ে এক বিদায় অনুষ্ঠানে- মোঃ সাইফুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন মহোদয়কে, মহসিন এর দূর্নীতির বিষয় গুলো সাংবাদিকগণ অবগত করতে চাইলে, পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগন সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেন এবং অফিস সহায়ক মহসিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এসিল্যান্ডের নিকট জানালে আমার কিছু যায় আসে না। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রহীতাগণ জানান-তাদের মত দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ বিভিন্ন হয়রানি হতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া কোন সেবা দিচ্ছে না তারা। সরকারী বিধি লংঘন করে, সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে আসছে। পৌর ভূমি অফিসে এ ধরনের অনিয়মের দ্রুত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন সেবা গ্রহীতাগন।
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Facebook Comments ...বিস্তারিত পড়ুন
আরও খবর
ফটো গ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
সাক্ষাৎকার
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
ঢাকা বিভাগ
কাশিমপুরে ধর্ষণ মামলা অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা
টানা পঞ্চমবারের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ড.মো.আব্দুর রাজ্জাক
ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঝিনাই-বৈরান সাহিত্য পরিষদ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
কাশিমপুরে তিতাস গ্যাস নিয়ে চলছে হরিলুট
অদম্য অগ্রযাত্রায় মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ
আরও খবর
চট্টগ্রাম বিভাগ
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার কেজি হাঙর জব্দ
আরও খবর
অন্যান্য
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রবিবার (২২ডিসেম্বর) বান্দরবান পৌরসভার পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পৌর এলাকার গরীব, অসহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, এ্যাডভোকোট মাধবী,এ্যাডভোকেট উবাথুয়াই মার্মাসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে সকল সদস্যাবৃন্দ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন! এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সভাপতি, কাজী মুজিবুর রহমান বলেন সবার দোয়া ও আর্শীবাদে আমি দীর্ঘ দিন যাবত বান্দরবান সদরে গরীব নিরিহ, অসহায় কর্মীদের দ্রুত চিকিৎসার পাবার জন্য একটি এ্যামবুলেন্স জরুরি প্রয়োজন মনে করি এতে উদ্যোগ নিয়েছি আজকের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি সত্যি খুশি। এটাই আমার নিজ ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য নয় এই এ্যাম্বুলেন্সটি আমরা সবাই যেন দ্রুত চিকিৎসা পাই। সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-২৭২০৯৩ তারিখ:-২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান
নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পদ অর্জন
আরও খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক  মোঃ বিজয় সরকার বার্তা সম্পাদক মোসাঃ  নাসরিন আক্তার সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ ওমর বিশ্বাস মাহাদ মোবাইল নম্বর  ০১৭৮৯৩৯০৪৭৪ ০১৬৩৮২৪৬৮৭৬
হেড অফিস ১৪ নম্বর চতরা ইউনিয়ন পীরগঞ্জ রংপুর  
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক বিজয় সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park